ময়মনসিংহের তারাকান্দা ও ভালুকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত শনিবার ভোরে ও বিকেলে পৃথক দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেল ৪.৩০ টা সময় ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা আঞ্চলিক মহাসড়কের তারাকান্দার মোজাহারদি (গাছতলা) বাজার সংলগ্ন এলাকায় ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। নেত্রকোনা থেকে ময়মনসিংহগামী সিএনজি চালিত অটোরিকশাটিকে নেত্রকোনাগামী ট্রাকটি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে আরো একজনের মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন: জামালপুরের ইসলামপুরে কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ আটক ৩
নিহতরা হলেন- সাংবাদিক (আমাদের সময়) বিজন কৃষ্ণ রায় (৫৮) ও আবুল কাশেম (৩২)। বিজন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বাগিচাপাড়া গ্রামের বিশ্বেশ্বর রায়ের ছেলে। আবুল কাশেম দুর্গাপুরের বংশীপাড়া গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে। তারাকান্দা থানার ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৭ মার্চ উপলক্ষে পুলিশের গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন
অপরদিকে ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ট্রাকের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় চালক ও হেলপার নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানায়, মহাসড়কের কাঁঠালী পল্লী বিদ্যুতের সামনে ঢাকা গামী একটি চলন্ত ট্রাকের পেছনে একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দিলে পিকআপের ড্রাইভার ও হেলপার মারা যায়।
আরো পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে দুই বছরে ১১০০ মামলা নিষ্পত্তি
নিহতরা হলেন- চালক কাউসার শেখ (২৫) ও হেলপার ইমরান (২৬)। কাউসার নেত্রকোনার সনুরা গ্রামের সদর আলীর ছেলে। ইমরানও একই জেলার যুগাটি গ্রামের চান মিয়ার ছেলে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। ভালুকা হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান জানান, পিকআপের ড্রাইভার ঘুমিয়ে পড়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।