নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। মধ্য ও নিম্নবিত্তদের জীবন আকাশ ছোঁয়া দামে হাঁসফাঁস। তবে এমন দিনেও খোঁজ মিলেছে মাত্র ৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির। তাও আবার রাজধানীর মিরপুরের মিরপুর-১২ নম্বরের ই-ব্লকের ৩৩ নম্বর সড়কের পশ্চিম দিকে বিহারি পট্টিতে।
সেখানে গেলেই চোখে পড়বে ‘ভাতিজা শাহিদ ও শরিফের দোকান’ নামের একটি দোকানের। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। মূলত গরু ও মুরগির মাংস বিক্রি করেন তারা।
আরো পড়ুন: ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রেমিকের মৃত্যু, প্রেমিকা আহত
জানা যায়, শাহিদ ও শরিফ সাত ভাই ও এক বোন। সাথে রয়েছেন বাবা ও মা। বসবাস বিহারী পট্টিতেই। বড় দুই ভাই বয়সে কিশোর হলেও সংসারের হাল তারাই ধরেছেন। দোকানটিতে যে কোনো পরিমাণে মাংস বিক্রি করা হয়। চাইলে ৫০ টাকায়ও নেওয়া যাবে গরুর মাংস। কেউ চাইলে যে কোনো অংকের টাকায় কলিজা বা মুরগির মাংসও কিনতে পারেন। দুই ভাইয়ের নিজেদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হলেও গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি রয়েছে মানবিকতা।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে শরীফ বলেন, যাদের মাংস খেতে খুব ইচ্ছে করে কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারেন না মূলত তারাই এখানে মাংস কেনেন। ১৫ বছর ধরে দোকান এভাবেই চলছে। আগে বাবা চালাতও, এখন আমরা চালাই।
আরো পড়ুন: এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ
শরিফ সংবাদ মাধ্যমকে আরো বলেন, যে কেউ যে কোনো পরিমাণে মাংস কিনতে পারেন। এতে তাদের লাভ হয় না। কারণ এসব মাংসে তারা হার দেন না। তবুও গরিব মানুষের জন্য তারা এ ব্যবস্থাটি রেখেছেন।
প্রতিদিন এক বৃদ্ধ লোক নিয়মিত গরুর মাংসের ক্রেতা। তবে তিনি ৫০ টাকার মাংস কেনেন। সে মাংসের টুকরা ছোট ছোট করে কেটে দেন শরিফ। এভাবেই কিছু ক্রেতার কাছে মাংস বিক্রি করেই নাকি তিনি তৃপ্তি পান।