এবার চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সালাউদ্দিন মীর নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর গুরুতর আহত ওই শিশুটিকে পরবর্তীতে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে বুধবার (৩ মার্চ) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি পেশায় একজন কাঁচামাল বিক্রেতা। ২ সন্তানের জনক সালাউদ্দিন রাজাপুরের জনতা বাজারে কাঁচামাল বিক্রি করেন।
ঘটনার বিষয়ে পুলিশ ও ভুক্তভোগী ওই শিশুর পরিবার সূত্র জানায়, সদর উপজেলার কন্দকপুর গ্রামের দাদির সাথে থাকতো স্থানীয় কারিমিয়া নুরানী মাদরাসার ৪র্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী। তার রিকশাচালক বাবা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নোয়াখালীতে বসবাস করেন।
আরো পড়ুন: বরসহ স্কুটি ছুটিয়ে নববধূর শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও)
ওই শিশুর পরিবার সূত্র আরো জানায়, দাদির অনুপস্থিতিতে বুধবার দুপুর ১টায় প্রতিবেশী সালাউদ্দিন মীর পানি খাওয়ার জন্য ওই ঘরে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। চিৎকার শুনে শিশুটির দাদিসহ প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অবস্থার অবনতি হলে বিকালে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুটির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ উদ্দিন শোভন জানান, রোগীকে সুস্থ করার জন্য সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন: যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিও ফাঁস, মন্ত্রীর পদত্যাগ
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়রা অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে আটকের চেষ্টা করলেও কিছু লোকের সহায়তায় পালিয়ে যায় সে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় সদর থানার এস আই রঞ্জিত সরকার জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।
খবর পেয়ে তারা হাসপাতালে এসে রোগীর অবস্থা জেনেছেন। পুলিশের ২টি টিম আসামিকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান পরিচালনা করছেন- বলেও উল্লেখ করেন তিনি।