ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সারাবাংলা

যেভাবে বীণার প্রেমের ফাঁদে অনেকে সর্বশান্ত হলেন

প্রকাশ: মার্চ ৫, ২০২১, ০৪:২২ পিএম

Sports Banner
যেভাবে বীণার প্রেমের ফাঁদে অনেকে সর্বশান্ত হলেন
ছবি | সংগৃহীত

বীণা রানী রংপুরের মেয়ে। যুবকদের তার প্রেম ও যৌনতার ফাঁদে ফেলে তাদের  কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতেন তিনি। তার টার্গেট করতেন গ্রামের সহজ-সরল যুবক ও ব্যবসায়ী। 

বীণা টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে প্রেমের জালে জড়াতেন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে । এরপর নিজ বাড়িতে এনে অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতেন। অর্থ হাতিয়ে নিতে তরুণীসহ ছবি তুলে তাদের ব্ল্যাকমেইলের ফাঁদে ফেলতেন। এভাবে কৌশলে অর্থ আদায় করতেন বীণা। টাকা না দিলে ওই ব্যক্তির ওপর চলত বীণার সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতন।\

আরো পড়ুন: পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রিজন ভ্যান থেকে পালালেন এই আসামি 

বীণার এমনই ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন অনেকে। বাদ যাননি গঙ্গাচড়া উপজেলার এক কর্মকর্তাও। আইনের চোখকে ধুলো দিতে ক্ষণে ক্ষণে নাম পরিবর্তন করতেন বীণা। কখনো বীণা রানী, কখনো মুক্তা, কখনোবা সুমি হিসেবে পরিচয় দিতেন। রংপুর নগরীতে ৪টি বাড়ি রয়েছে বীণার। তার বাসা রংপুর নগরীর ধাপস্থ গাইবান্ধা বিআরটিসি বাসকাউন্টার এলাকায়।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বীণাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে বলে শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ।

আরো পড়ুন: এবার কারাগারে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ (ভিডিও)

রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, বীণা দীর্ঘদিন ধরে প্রেম ও যৌনতার ফাঁদে ফেলে ভাড়া বাসায় যুবক ও ব্যবসায়ীদের এনে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। সম্প্রতি নীলফামারীর এক ব্যবসায়ী বীণার ফাঁদে পড়ে আড়াই লাখ টাকা হারালে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর দুপুরে মেট্রোপলিটন কোতয়ালি পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে বীণাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যে, পুলিশ নুরপুরসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ওরফে কচি (৩৪), আহসান হাবীব (২৫), শ্রী বিষ্ণু রায় ওরফে আকাশ (১৯), সেকেন্দার রাজা (২৮), শ্যামল ওরফে নুর ইসলাম (৫৫), সোহাগী ওরফে রাজিয়া (৩২), জোনাকি ওরফে তিশা (২১), জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে জান্নাতি (২০), শাহনাজ (৩৫) ও লিজা মনিকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছে থাকা ১৩টি মোবাইল ফোন, প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নেওয়া ৩টি এটিএম কার্ড ও নগদ ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, সম্প্রতি বীণার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা ৮৫ হাজার টাকা খোয়ান। এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। বীণা দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরী তরুণীদের ব্যবহার করে অনেককে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে মানবপাচারের ২টি মামলাও রয়েছে। 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর