জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার চরনাংলা গ্রামে গোসলখানায় ঢুকে প্রতিবেশী যুবক এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ওই ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গত বুধবার (৩ মার্চ) ওই ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে জামালপুর জজ কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। ধর্ষিতার মা জানান বুধবারই ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: কলেজছাত্রীকে হত্যা করে মরদেহ হাসপাতালে ফেলে গেলো
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা জানান, তার স্বামী চট্টগ্রামে ইটভাটায় কাজ করেন। তিনি নিজেও শ্রমিক। রবিবার তিনি মরিচ তোলার কাজ করতে যান। ওইদিন বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। দুপুরে তার মেয়ে (১২) গোসল করার সময় প্রতিবেশী রশিদুল্লাহ সরকারের বখাটে ছেলে বাবু অতর্কিতে গোসলখানায় ঢুকে মেয়ের উড়না মুখে চেপে ধরে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশী মোতালেব মিয়া এসে ধর্ষক বাবুকে ধরে ফেললেও সে একপর্যায়ে পালিয়ে যায়।
আরো পড়ুন: পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রিজন ভ্যান থেকে পালালেন এই আসামি
গ্রামের মাতবর খলিলউল্লাহ ওরফে খলিল মেম্বারসহ অন্য মাতবররা ঘটনার দিনই ধর্ষকের সাথে ধর্ষিতার বিয়ে দেওয়াসহ মোটা অংকের কাবিননামা ও জমিজমা লিখে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে ধর্ষিতার মাকে মামলা করতে নিষেধ করেন।
কিন্তু তিন দিনেও কোনো প্রকার মীমাংসার ব্যবস্থা না করায় বুধবার ধর্ষক মুন্না সরকার (বাবুর) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।