রেলওয়ের কর্মচারী শহীদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। কুষ্টিয়া মিলপাড়ায় কাজ করার সময় শহর আওয়ামী লীগের ১০ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ খান রনি (৩৫) এবং তার বেশ কয়েকজন সহযোগী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বেধড়ক মারধর করে রেলওয়ের কর্মচারী শহিদুল ইসলামকে। এতে সে মারাত্মকভাবে আহত হয়। বর্তমানে শহিদুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ১০ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে শহিদুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা ওয়াহেদ খান রনি সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ।
আরো পড়ুন: বিয়ের আসরে কাঁদতে কাঁদতেই মারা গেলেন কনে
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার( ৫ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে ওয়াহেদ খান রনি পিতা তাইজাল আলী খান, আনোয়ার হোসেন (৩২), রাজা (৪৫), সোহেল রানা (৩০), নুর আলম (৫২), রুস্তম (৪০), সুজন কানা (৩০), লিটন (৩২) ও রিপন (৩০) সহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জন পূর্ব শত্রুতার জের হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শহিদুলকে ঘিরে ফেলে। এ সময় ১ নং বিবাদী এবং ২ নং বিবাদী বুকের উপর উঠে এলোপাথাড়ি লাথি মারতে থাকে। এ সময় বাকী বিবাদীগণ শহিদুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা সহ কয়েকজন এগিয়ে আসলে তাদের কেও মারধর করা হয়।
আরো পড়ুন: রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে অশ্লীল ছবি ধারণ, অতঃপর ‘ব্ল্যাকমেইল’ (ভিডিও)
এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রনি আমাকে মারধর করেছে। এমনকি আমার দাড়ি উপরে ফেলা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে ওয়াহেদ খান রনির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত কবির বলেন, এ বিষয়ে এজাহার পেয়েছি। অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।