বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতাল) দুলালী খাতুন (১৮) নামে এক তরুনীর মৃতদেহ রেখে তার স্বামী মজনু মিয়া ও পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছে। নিহত দুলালী খাতুন ধুনট পৌর এলাকার চরপাড়া গ্রামের চান্দু ফকিরের মেয়ে।
রবিবার দুপুর ১টায় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুলালী খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরো পড়ন: যাত্রাবাড়ীতে দিনদুপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ!
থানা পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুলালী খাতুনের সাথে প্রায় এক বছর আগে থেকে একই এলাকার বেলকুচি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মজনু মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
দুলালী খাতুনের চাপে পারিবারিক সম্মতি ছাড়াই প্রায় ৪ মাস আগে বিয়ে করে মজনু মিয়া।
কিন্ত বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে নবদম্পতির মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ন: রাজধানীতে প্রকাশ্যে প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ!
রোবিবার সকাল ৮টার দিকে মজনু মিয়া তার ঘরে দুলালীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়।
পরে তাৎক্ষনিক ভাবে মজনু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন দুলালীকে ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুলালীকে মৃত ঘোষনা করলে মজনু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে নিহতের পরিবারের লোকজন ও থানা পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌছেন।
নিহতের ভাই ফজলুল হক বলেন, সংবাদ পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌছে আমার বোনের মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে কী কারণে তার মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে তা এ মহুর্তে বলতে পারছি না।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ আশরাফুল কবীর বলেন, দুলালীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তবে মৃতদেহের গলায় ফাঁস লাগানোর আলামত পাওয়া গেছে।
আরো পড়ন: আবারো বেগমগঞ্জ, এবার মাকে অজ্ঞান করে মেয়েকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক বলেন, দুলালীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা সহ নববধূর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।