সিলেট জেলায় বেড়ানোর কথা বলে ইনজেশকন পুশ করে সুফিয়া বেগম (২২) নামের এক নারীকে হত্যা করেছে তার স্বামী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার খাদিম চা বাগান এলাকায় রবিবার (৭ মার্চ) এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তির নাম আয়নুল হক। তিনি কোতোয়ালি থানার বাগবাড়ি এলাকার মাসুক মিয়ার ছেলে।
সকালে গৃহবধূ সুফিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সুফিয়া বেগম এয়ারপোর্ট থানার খাদিম চা বাগান এলাকার (মিত্রিঙ্গা লাইন বরইতলা) মৃত হারুন মিয়ার মেয়ে।
আরো পড়ুন: শাবিপ্রবি ছাত্রীর মেসে গোসলের ভিডিও ধারণ
পুলিশ সূত্র জানা গেছে, সাত মাস আগে সুফিয়া বেগমের সঙ্গে আয়নুল হকের বিয়ে হয়। তবে তাদের বনিবনা হতো না। প্রায়ই ঝগড়া হতো। এমনকি বিবাদের জেরে আয়নুল তাকে মারধর করতেন। শনিবার (৬ মার্চ) আয়নুল তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যান। সেখানে রাতে সুফিয়া বেগমের হাতে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। ওই সময় নিহত সুফিয়া বেগমের বোন ইনজেশন পুশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তাকে আয়নুল জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে ইনজেশন দেয়া হয়েছে।
পরদিন সকালে পৌনে ৮টার দিকে সুফিয়া বেগম হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসামী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন: পুলিশ পরিদর্শক স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে অভিযোগ
এ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের।
তিনি বলেন, গৃহবধূ সুফিয়া বেগমকে ইনজেশকন পুশ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী আয়নুলকে আটক করেছে।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আরও জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই গৃহবধূ সুফিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।