বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রী দুলালী খাতুনের (১৮) লাশ রেখে স্বামী মজনু মিয়া পালিয়ে গেছেন।
দুলালীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে গতকাল রবিবার (৭ মার্চ) দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ধুনট পৌর এলাকার চরপাড়া গ্রামের চান্দু ফকিরের মেয়ে দুলালী। তার স্বামী মজনু মিয়া উপজেলার বেলকুচি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
আরো পড়ুন: যশোরে ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মজনুর সাথে দুলালীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে মজনু পারিবারিক সম্মতি ছাড়াই চার মাস আগে দুলালীকে বিয়ে করেন।
কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বিভিন্ন কারণে ঝামেলা লেগেই থাকতো। সবশেষে রবিবার সকালে নিজ ঘরের তীরের সাথে দুলালীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। পরে মজনুসহ তার স্বজনরা দুলালীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরপরই মজনু ও মজনুর পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে দুলালীর স্বজনরা হাসপাতালে আসেন।
আরো পড়ুন: নারীকে ধর্ষণের পর ইয়াবা দিয়ে ধরিরে দেয় ছাত্রলীগ নেতা
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আশরাফুল কবীর সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, দুলালীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। মৃতদেহের গলায় ফাঁস লাগানোর আলামত পাওয়া গেছে। দুলালীর ভাই ফজলুল হক বলেন, খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছি। দুলালীর মৃত্যুর কারণ এখন বলতে পারছি না। জানতে চাইলে ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক বলেন, এ বিষয়ে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে জানা যাবে। কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।