ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সারাবাংলা পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত

বরিশালে আপাতত বিজিবি নামানো হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: আগস্ট ২০, ২০২১, ০৯:৫৩ পিএম

Sports Banner
বরিশালে আপাতত বিজিবি নামানো হচ্ছে না
ছবি: সংগৃহীত।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্ডার গার্ড সদস্য (বিজিবি) মোতায়েনের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে যেকোনো মুহূর্তে যেন বিজিবি সদস্যদের মাঠে নামানো যায়, সে রকম প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বরিশাল জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) নাজমুল হুদা সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাজমুল হুদা বলেন, ১০ প্লাটুন বিজিবি ও ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ম্যাজিস্ট্রেটরা এসেছেন। তবে শহরের পরিস্থিতি এখন শান্ত, তাই বিজিবি সদস্য মোতায়েন বা টহলও এখন শুরু করা হচ্ছে না। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হলে যেন তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের মাঠে নামানো যায়, সে জন্য বিজিবি সদস্যরা আশপাশের জেলায় অবস্থান নিচ্ছেন। প্রয়োজন হলে আসবেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, নগরীর বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে আবেদন করা হয়। এ জন্য বরিশালের বাইরের জেলা থেকে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ম্যাজিস্ট্রেটরা বরিশালে পৌঁছেছেন।

এদিকে ঘটনার দুদিন পর মেয়রসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার প্রতিবাদে এবং গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে নগরীর সোহেল চত্বরে আজ বিকেল চারটায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

আজ সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল দেখা যায়। এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব টহল দিচ্ছে। গত বুধবার রাতে ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনার পর থেকেই নগরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে যান চলাচল ও জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে বাসভবনে হামলার পর ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৭০ থেকে ৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে পৃথক আরেকটি মামলা করেন। এ দুটি মামলাতেই মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত এ মামলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ মিঞা জানান, জনগণের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক আছে। মামলায় বাকি যে আসামিরা রয়েছেন, তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আজ বিকেলে সদর উপজেলা পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ ও ইউএনওর সরকারি বাসভবনে নিরাপত্তা দিতে সেখানে বেশ কয়েকজন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর