কুষ্টিয়া জেলার এক ব্যক্তির পুরো পরিবারের সব সদস্যের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) বানানো হয়েছে। এই এনআইডি বানিয়ে তা সরবরাহ করার অভিযোগে এক নির্বাচন কমিশন উপ-সচিব, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের সাবেক জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপ-সচিব নওয়াবুল ইসলাম, ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, কুষ্টিয়ার সদর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ছামিউল আলম, মাগুরা সদরের থানা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাস ও অফিস সহকারী জি এম সাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৭ মার্চ) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তাদের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা আইনের ২০ ধারা, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ২৪, ৩৩ ও ৩৫ ধারা, পেনাল কোডে ১০৯, ৪২০, ৪৬৮ ধারা ও জাতীয় পরিচয়পত্র আইনের ১৭ ও ১৮ ধারায় মামলা করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ ) রাতে।
আরো পড়ুন: পুলিশ পরিদর্শক স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে অভিযোগ
ছামিউল আলমের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় ও বাকিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।
আরো পড়ুন: শাবিপ্রবি ছাত্রীর মেসে গোসলের ভিডিও ধারণ
তার পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে- এম এম এ ওয়াদুদ, বাবা মৃত আব্দুল হাকিম, সাং-১১০, এনএস রোড কুষ্টিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম তথ্যাদি ধারণ করে জালিয়াতির মাধ্যমে ০৬ (ছয়) জন ব্যক্তি কর্তৃক জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণের অভিযোগ সংক্রান্ত তদন্তে ওই কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ায় নিয়মিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও জানা যায়, ওয়াদুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ভুয়া এনআইডি তৈরি করে একটি চক্র ওয়াদুদের জমি বিক্রি করে দেয়। ওয়াদুদ বিষয়টি জানার পর ইসিতে অভিযোগ দিলে তদন্তের পর নিজস্ব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিলো সংস্থাটি।