প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান বিতরণ করা করা হয়। এতে মোট ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯ জন কে সহায়তা করা হবে। এর মধ্যে দেড় লাখ উপকারভোগীর সহায়তা পৌঁছে গেছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমে।
রবিবার (১ লা মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এই উপবৃত্তি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীরসহ বিকাশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দও শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন: মেবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা
এবারের কার্যক্রমের আওতায় সহায়তা প্রদান করা হয়েছে মোট ৮৭ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৪০০ টাকার। গত বছর প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় ২ লাখ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও নিরাপত্তার সাথে বিকাশে পৌঁছে যায়। সেই সফলতার ধারাবাহিকতায় এবারের কার্যক্রমের সিংহভাগ উপবৃত্তি বিতরণের দায়িত্ব পেয়েছে বিকাশ।
আরো পড়ুন: পুলিশ থেকে বাাঁচতে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুর পথে যুবক
বাড়তি কোনো খরচ ছাড়াই শিক্ষার্থীরা ক্যাশ আউট করে নিতে পারবেন বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাওয়া উপবৃত্তির টাকা। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অংশ নিয়ে বিভিন্ন জেলার উপকারভোগী শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন এবং তাকে ধন্যবাদ জানান।
এছাড়া জিটুপি পদ্ধতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও নিরাপত্তার সাথে বাড়তি কোনো খরচ ছাড়াই সফলতার সাথে বিতরণ করে আসছে বিকাশ।