প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১, ০৩:২৬ এএম
খেলাপি ঋণ না দিয়ে মন্ত্রী বা কারো প্রভাবে দেখিয়ে কাজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পিপলস লিজিংয়ের খেলাপি ঋণ পরিশোধ করার বিষয়ে এক খেলাপি ও তার আইনজীবীকে উদ্দেশ করে হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ কথা বলেন।
এর আগে আদালতে তলবে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্ধারিত দিনের দ্বিতীয় দফায় ১৩৭ জনের মধ্যে আজ ৪৫ ঋণগ্রহীতা হাইকোর্টে হাজির হয়ে তাদের মধ্যে কয়েকজন টাকা পরিশোধের সময় চান, আবার কেউ কেউ কিস্তি পরোশোধ করছেন বলেও আদালতকে জানান।
এসময় এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে আদালত তাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনার ব্যবসা তো ভালোই। তো আপনার কত টাকা।’ জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাকে দেয়া নোটিশে লেখা আছে ৩৮৪ কোটি টাকা। আমি প্রতি মাসে ২০ লাখ টাকা করে কিস্তি পরিশোধ করছিলাম। কিন্তু অ্যাকাউন্ড ফ্রিজ হয়ে যাওয়ায় ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর থেকে আর কোনো কিস্তি দেয়া হচ্ছে না ‘
এসময় আদালত বলেন, ‘আগে ওইসব কিস্তির টাকা দিয়ে আসুন, এরপর এসে কথা বলবেন, আপনার কাছে কত পাওনা, আর কত দেবেন। বোর্ড বসবে অথবা প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
‘অ্যাকাউন্ট থেকে পেমেন্ট দিতে তো বাধা নেই। আমি এখনই অর্ডার দিয়ে দিচ্ছি। আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে পেমেন্ট দিতে কোনো বাধা থাকবে না। কিন্তু ব্যক্তিগত খরচের জন্য টাকা তুলতে পারবেন না। বাংলাদেশ ব্যাংককেও এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, যারা টাকা পেমেন্ট করতে চান তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে যাতে টাকা পেমেন্ট করা যায়’- বলেও উল্লেখ করেন হাইকোর্ট।
এসময় ঋণগ্রহীতাদের উদ্দেশ্য আদালত বলেন, ‘আপনারা তো জমা রাখা টাকা তুলে নিয়েছেন। আর যারা এই প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রেখেছেন, তারা তো না খেয়ে ঘুরছেন রাস্তায়।’
প্রসঙ্গত, আদালতে সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। ঋণ খেলাপিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন, ড. সৈয়দা নাসরিন ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ানসহ আরও অনেকে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম।