দেশে যখন সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে তখনও সমাজের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ অস্থিরতার কারণে দেখা যায় করোনাকালে নারী ও শিশু নির্যাতন কিছুটা হলেও বেড়েছে। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মুক্তবাজার অর্থনীতির আনুষঙ্গিক নেতিবাচক দিকগুলো সমাজে প্রকটিত হচ্ছে। মানুষের মনস্তাত্ত্বিক দ্বিধাদ্বন্দ্ব মানুষকে অস্থির সময়ে অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজে প্রলুব্ধ করছে। যদি পত্রিকার শিরোনামগুলোই দেখি ফুলের মতো জীবন।
আনুশকা আমিন আরনা -লোভাতুর মানুষের বিকৃত রুচির কারণে ঝরে পড়ছে। সরকার জীবন ও জীবিকার মধ্যে করোনাকালে সুন্দরভাবে মেলবন্ধন ঘটাতে প্রয়াস নিয়েছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে সম্মুখ সারির দেশগুলোতে অবস্থান করছে। এজন্য অবশ্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বের জন্য প্রশংসিত হবেন। এদিকে সমাজে যে নবধন্যবাদী গোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে তাদের কর্মকাণ্ড মোটেও দেশের অনুকূলে নয়। পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ করতে গিয়ে এ ধরনের অপকর্ম দেশে ঘটে চলেছে। মাঝখান থেকে স্বল্পবয়সী কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে মাঝবয়সী অনেকেই হয়ত মনস্তাত্ত্বিক কারণে নানামুখী সামাজিক অস্থিরতার শিকার হচ্ছেন। অবশ্যই এটি অনভিপ্রেত। আমাদের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের উচিত ছিল সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ খুঁজে বের করে কিভাবে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করা যায় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থার সুপারিশ করা। দুর্ভাগ্যজনক যে, গুটিকয়েক বুদ্ধিজীবী এবং সমাজবিজ্ঞানী ছাড়া অধিকাংশই নিজ নিজ আখের গোছাতে ব্যস্ত। করোনাকালে মানসিক আঘাত থেকে নারী, শিশু ও পুরুষ নির্যাতনও বেড়েছে। কোন্ পর্যায়ে গেলে পত্রিকার শিরোনাম পড়তে হয় মাত্র দশ টাকার জন্য ছেলেশিশুকে বলাৎকার। আর যে মেয়ে ১৭ বছরে হারিয়ে গেল হায়েনার বিষাক্ত ছোবলে সে তো আর তার বাবা-মায়ের কোলে কোনদিন ফিরে আসবে না। আনুশকা নামের মেয়েটি কি অপরাধ করেছিল? আসলে জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে আমরা মুক্তবাজার অর্থনীতির সুফলের সঙ্গে সঙ্গে ওই সমস্ত দেশের বিকৃত ঘটনাপ্রবাহকেও এদেশে অনায়াসে কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের মাধ্যমে বহন করে নিয়ে আসছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করছে। ঘটনা ঘটলেই অপরাধীকে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করছে। কিন্তু কথায় বলে ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর।’ এ কাজটি তো আমাদের বুদ্ধিজীবী মহল, নাগরিক সমাজের গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা দরকার, যাতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ততা কাটিয়ে ওঠা যায়। অবাধ আকাশ সংস্কৃতি কিছুটা হলেও দায়ী। আমরা অনেক কিছুই সহজলভ্য করে ফেলছি। এই সহজলভ্যটা দেশ ও জাতির জন্য ভাল কিছু আনে না। বরং যে ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে রাষ্ট্র উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছিলাম, আজ সমাজের নানা স্তরে কেন দুর্নীতি পঁচাত্তর পরবর্তীতে বাসা বেঁধেছে এবং কিভাবে এ দুর্নীতির হাত থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে সেটা ভারতে হবে সবাইকে । জিয়ার আমলে প্রিন্সেস লাকীর উদ্দাম নৃত্য, জুয়া, কাচ্চি খেলা শুরু হয়। আর তা এখন অনলাইন ব্যবসায়ীদের কারণে ডিজিটাল হয়েছে।
আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচানো যায় সেজন্য সর্বস্তরের মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গকে কাজ করতে হবে নিরপেক্ষভাবে। কেবল নারীবাদী বা পুরুষবাদী বক্তব্য না দিয়ে সমাজের বিশৃঙ্খলা হ্রাসকল্পে কাজ করতে হবে। অনেকে এমনও বলে থাকেন যে, আজকের অনেক ধনাঢ্য সন্তান-সন্তুতির কাছে মাদক, অস্ত্র থাকা এবং বিকৃত জীবনাচার করা সামাজিক ক্ষমতা দেখানোর হাতিয়ার। এসব বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। কিন্তু প্রতিনিয়ত ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত করে-এদিকেই। এমন পরিবেশ দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হচ্ছে। বিশ্বায়নের কারণেই হয়ত এমনটি ঘটছে। খালেদা ও জামায়াতের আমলে মদ উৎপাদনের জন্য পারমিশন দিয়েছিল। আবার পত্রিকার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, করোনাকালে ডিভোর্সের হারও অনেকগুণ বেড়ে গেছে। এটি কেবল ঢাকা শহরে সীমাবদ্ধ নয়, ঢাকার বাইরের জেলা শহরগুলোতে ঘটছে। ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রদানকারী কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও হীন কর্মকাণ্ডের কিছু বিবরণ পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এসব পড়ে লজ্জা লাগে মানুষ হিসেবে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসানোর প্রয়াসও বিভিন্ন সময় পরিলক্ষিত হয়েছে। আসলে ন্যূনতম সততা ও নৈতিকতাবোধ কোন কোন মানুষের মধ্যে নেই। দুর্বিনীত হয়ে উঠেছে এরা। এদের কিভাবে ‘আবার তোরা মানুষ হ’-তে রূপান্তর করা যায় সেটি এখন বড় প্রশ্ন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একটি কথা না বললেই নয়, দেশে সরকারী আইন অনুযায়ী যে বিয়ের বয়স আছে, অর্থাৎ মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর সেটিও এখন শহর এলাকায় মানা হচ্ছে না। বরং শহরাঞ্চলে অনেক বেশি বয়সে বিয়ে হওয়ায় ফ্রি মিক্সিং বাড়ছে। একজন ছেলে চাকরি পেতেও ৩০ বছর সময় লেগে যাচ্ছে। মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। গ্রামীণ পরিস্থিতি ভিন্ন। সেখানে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করতে প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তাদের তৎপর থাকতে হচ্ছে। তারপরও এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। একটি গবেষণায় দেখেছি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রাপ্তবয়স্কদের অবিবাহিত থাকার হারও বেড়ে গেছে দ্বিগুণের বেশি। আসলে মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার যেমন সীমা-পরিসীমা নেই, তেমনি সমাজের প্রতি যে দায়বদ্ধতা তাও অনেকে পোষণ করেন না। পরিবার থেকে যে নৈতিকতা শিক্ষার কথা, পরবর্তীতে স্কুল থেকে শিক্ষার কথা সেখানেও দেখা যাচ্ছে এক ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা। পরিবার যখন দুর্নীতি করে তখন তার কুপ্রভাব পরিবারের অন্যান্য সদস্য-সদস্যার ওপরও পড়ে থাকে। পঁচাত্তর পরবর্তী থেকে পঁচানব্বই পর্যন্ত দুর্নীতির দুর্বৃত্তায়ন করেছেন সে সময়ের শাসকেরা। এ কারণে ন্যূনতম নৈতিকতাবোধ পরিবার থেকে শিক্ষা দেয়া হয় না। আবার আমি যখন পঞ্চাশ বছর আগের বিদেশী খ্রীস্টান মিশনারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথা ভাবি- তারা কিভাবে পরিবারের পরেই নৈতিকতা শিক্ষা দিতেন, সেটি আজ ঢাকার বেশ কিছু নামকরা স্কুলে করোনাকালের পূর্বে ২০২০-এর জানুয়ারিতে পরিদর্শন করেও খুঁজে পাইনি। একজন শিক্ষক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বললেন, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে চাকরি পাওয়ার জন্য যেভাবে খুশি করতে হয়েছে তাতে কিভাবে আর নৈতিকতা শিক্ষা আমি দেই! এ ব্যাপারে শুনে শুধু ম্লান মুখে তাকিয়ে রইলাম। আমরা কি তবে স্নেহময় ভ্রাতা, শ্রদ্ধার বড় বোন, স্নেহের ছোট বোন- এ সম্পর্কগুলো চিরন্তন বাঙালী কৃষ্টি-সংস্কৃতি এবং সংস্কারের মধ্য থেকে ভুলে যাচ্ছি? বরং সুন্দর ও সৌহার্দ্য সম্পর্ক নিয়েও আজকাল অবলীলায় কুৎসা রটনা করা যায়। কি দুর্ভাগ্য আমাদের!
একটি লক্ষণীয় দিক হচ্ছে স্বল্পসংখ্যক উপাচার্য কেবল সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর মানবকল্যাণের তথা ছাত্রকল্যাণের আদর্শ বাস্তবায়নে তৎপর থাকেন। অথচ অধিকাংশের ক্ষেত্রে থাকে কেবল ক্ষমতার প্রতিপত্তি জাহির করা, আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া। আজ থেকে চল্লিশ বছর পূর্বে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বলতে বোঝাত কেবল সচিবালয়কেন্দ্রিক। কিন্তু এখন অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তৃতায় প্রায়ই সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সঙ্গে কিভাবে এবং কার অর্থে বেতন হয় সেটি বুঝিয়ে দিতেন। এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কেবল সচিবালয়ে নয়, বরং আরও দ্রুত গতিতে ধাবমান বিভিন্ন শিক্ষা প্রশাসন, স্বাস্থ্য প্রশাসন, বেসরকারী-সরকারী হাসপাতাল, টিএ্যান্ডটি, জিপিও, ওয়াসা, ডেসকো, তিতাস, বাংলাদেশ রেলওয়েসহ সর্বত্র। সবার ভাবখানা এমন যে, সাধারণ মানুষকে কেন সেবা দেব। এমনকি রেজিস্টার্ড চিঠি, ফোন কিংবা ই-মেইল করলেও জবাব দেয় না। কিন্তু তথ্য জানার অধিকার বলে একটি জিনিস আছে। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ফোন ধরতে একান্তই অনীহা। আবার সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংকের আগের এমডি তো গ্রাহকের ই-মেইল রিটার্ন করে দিতেন। যাই হোক, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছ থেকে একটি তথ্য জানার জন্য বেশ কয়দিন ধরে ফোন করলেও তিনি ধরেননি। তথ্যটি আর কিছু নয়- খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ নিয়ম মেনে সেকশন অফিসার পদে এ্যাপ্লাই করার পরও কি কারণে প্রার্থীকে ডিসকোয়ালিফাই করা হলো তা জানার জন্য। ইতিমধ্যে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ দায়ের করেছে । তবে তিনি এখন প্রকৃত অপরাধী হয়ে উঠছেন।আসলে এরা সরকারের জন্য বোঝাস্বরূপ। ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থে পরিচালিত হয়ে থাকে। আদর্শবান প্রশাসক ছাড়া কেউ ভাল উপাচার্য হিসেবে পরিগণিত হতে পারেন না। ক্ষমতায় গিয়ে সাপের পাঁচ পা দেখে থাকেন। এরা বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বোঝাস্বরূপ। এদিকে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সম্পর্কে প্রতিনিয়ত গোয়েন্দা রিপোর্টে কর্মকাণ্ড ভালভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। বঙ্গবন্ধুর আমলে তিনটি জিনিস নিষিদ্ধ করা হয়- জুয়া খেলা, প্রকাশ্য মদ্যপান ও ঘোড়দৌড়। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবশ্যই নৈতিক ও সৎ হতে হবে এবং খারাপ ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে । সম্প্রতি মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু গাফিলতি সম্পর্কে যে মূল্যবান বক্তব্য রেখেছে তার জন্য। এ মুহূর্তে স্মরণ করছি মহাত্মা গান্ধীর স্মরণীয় উক্তি, ‘কেউ তোমার কাছে সাহায্যপ্রার্থী হয়ে এসেছে, তাকে সেবা দিয়েছ বলে তাকে ধন্য করেছ মনে না করে বরং সে যে দয়া করে তোমাকে সেবা করার জন্য সুযোগ দিয়েছে, এতে বরং তোমাকে সে ধন্য করে গেছে।’ এ কথাটি বাস্তবায়নের জন্য টিএ্যান্ডটি এবং তিতাসের ক্ষেত্রে বহুল প্রযোজ্য। টিএ্যান্ডটির বিল সময়মতো আসে না। আর ফোন নষ্ট হলে তা ঠিক করতে সময় নেয়। অন্যদিকে তিতাসের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ঘটনায় দেখা যাচ্ছে যে, কমপ্লেন করলেও তারা যথাসময়ে ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রাণহানি ঘটেছে। মানুষ মানুষের জন্য- এ কথাটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময় বিশ্বাস করেন এবং জনকল্যাণে নিবেদিতভাবে কাজ করেন। কিন্তু সমস্যা হলো মাঝারি ও নিম্নস্তরে যারা বাস্তবায়ন করবেন তাদের অনেকেই আন্তরিক নন। অবশ্য একদল আছেন আন্তরিক, তাদের সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আন্তরিক নন এমনদের সংখ্যাই হয়ত আমাদের কাছে এখন বেশি প্রতিভাত হয়। সমাজ ভাঙছে, দুষ্টুরা সুবিধা নিচ্ছে। ক’দিন আগে এক সহকর্মী বললেন, মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি ভয় করে হাসপাতালকে। অথচ এদেশে ডাঃ প্রাণগোপাল দত্ত, ডাঃ এবিএম আবদুল্লাহ, ডাঃ কনককান্তি বড়ুয়ার মতো নিবেদিতপ্রাণ চিকিৎসকও আছেন। সিএমএইচের মতো হাসপাতালও আছে-যেখানে মানবসেবা পাওয়া যাচ্ছে। ভাল-মন্দের মিশেল দিয়েই সমাজ ব্যবস্থা। তারপরও বাঙালীসত্তার জয় হোক, মানবীয় ও সামাজিক অগ্রগতি উন্নয়নকে পরিশুদ্ধ করুক- এই প্রত্যাশা।
লেখক: প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী