বিয়ের দিন নামাজে সিজদারত অবস্থায় প্রাণ হারালেন বর সুজন মিয়া।
এ ঘটনার বিষয়ে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে তার বিয়ের দিন ধার্যের কথা ছিল। সুজন পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রী।
হবু শশুরবাড়ির লোকজনের আপ্যায়নের জন্যে সুজন নিজ হাতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিলেন। কিন্তু সকাল থেকেই বুকে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন বর সুজন মিয়া। পরে দুপুরে জুমার নামাজ পড়তে বুকে ব্যথা নিয়েই গ্রামের জামে মসজিদে যান তিনি।
এসময় ব্যথা প্রচণ্ড আকার ধারণ করলে সুজন মিয়া সিজদায় পড়ে যান এবং সিজদারত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এদিকে সহজ-সরল প্রকৃতির যুবক সুজনের আকস্মিক মৃত্যুতে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন তার মা।
আরো পড়ুন: এবার কারাগারে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ (ভিডিও)
সুজনের বড়ভাই দবির মিয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার ছিল তার চিনি-পান (বিয়ের দিন ধার্য) অনুষ্ঠান। জুমার নামাজের পর তার হবু শশুরবাড়ির লোকজন আসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। আমাদেরকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে প্রিয় ভাইটি পাড়ি জমালো না ফেরার দেশে।
সুজনের বড়ভাই আরো বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে বুকে ব্যথা অনুভব করছিল সুজন। জুমার আজানের সময় বুকে ব্যথা নিয়েই সে মসজিদে চলে যায়।
আরো পড়ুন: যশোরে স্বামীর মৃত্যুর ৮ বছর পর স্ত্রীর সন্তান প্রসব!
সেখানে গিয়ে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে সিজদায় পড়ে সে। আর সিজদারত অবস্থায়ই সে মারা যায়। যদিও আমরা তাকে ওই অবস্থায় বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। তিনি পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।