বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলেছেন, জোর করে ক্ষমতায় থাকতেই সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। এই সরকারকে সরাতে সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।
রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিবাদ সমাবেশে বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) সকালে এ মন্তব্য করেন তারা।
এর আগে এদিন সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল। সকাল সাড়ে ৯টায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে তোপখানা রোডে জমায়েত হন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
আরো পড়ুন: সীমান্ত হত্যা দুঃখজনক: জয়শঙ্কর
এ কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতা। সমাবেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবির পাশাপাশি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন বিএনপি নেতারা।
এসময় সমাবেশে আসতে নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে নিজের বক্তব্যের শুরুতেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সকাল থেকে সমাবেশে আসতে নেতাকর্মীদের বাধা দিচ্ছে পুলিশ।
আরো পড়ুন: ঢাকায় এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এসময় পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ‘বেয়াদব’ অ্যাখ্যা দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, এই ধরনের বেয়াদব বাহিনী দিয়ে ক্ষমতা রক্ষা করা যাবে না। জনগণের আন্দোলনের তোড়ে সবকিছু ভেসে যাবে।
এদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ক্ষমতায় থাকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। এই সরকারকে সরাতে হবে। কারণ এই সরকার জনগণের নির্বাচিত নয়। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদেরকেই দাঁড়াতে হবে, শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। সব রাজনৈতিক দল এক হয়ে আন্দোলন করতে হবে।