প্রকাশ: মার্চ ৬, ২০২১, ০১:১৬ পিএম
যুগের পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছে মানুষ। কাজের ব্যস্ততা যত বাড়ছে প্রযুক্তির উপর নির্ভরতাও ততটাই বাড়ছে। বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে প্রযুক্তিবিহীন জীবন কল্পনা করাও দুষ্কর। মানুষের বহুল ব্যবহৃত এসব প্রযুক্তির মাঝে একটি হচ্ছে স্মার্টফোন। বর্তমান সময়ে আমরা সবাই আমাদের স্মার্টফোনের মাধ্যমেই সব কাজ করে থাকি। কি নেই এই স্মার্টফোনে। দৈনন্দিন ব্যাবহারের সকল কাজ থেকে শুরু করে সোস্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি পর্যন্ত সব কাজ করা যায় এই স্মার্টফোনে। শধু তাই নয়, প্রায় সকল ধরণের আর্থিক লেনদেন, বিল প্রদানও এখন ঘরে বসেই করা সম্ভব এই স্মার্টফোনের সাহায্যে।
মোটকথা মানুষকে নানা ধরনের দৈনন্দিন কাজের জটিলতা থেকে মুক্তি দিয়েছে এই স্মার্টফোন। তাই সকল বয়সের মানুষের কাছেই খুব অল্প সময়ে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে স্মার্ট এই ডিভাইস। যা ছাড়া আক্ষরিক অর্থেই এখন সবকিছু অচল। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের মানুষ হিসেবে আমাদের দেশের অনেক মানুষই আর্থিক জটিলতার দরূন প্রয়োজনীয় এই বস্তুটি ব্যবহার করতে পারছেন না। বাংলাদেশে অনেক নামি-দামি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দাম হাতের নাগালের বাইরে হওয়ায় এর সুফল ভোগ করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।
বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের অনেক মোবাইল ফোনের শো-রুমে কিস্তিতে (ইএমআই) স্মার্টফোন বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ক্রেডিট কার্ড ছাড়া এ সুবিধা পাওয়া অসম্ভব। আর সাধারণ মানুষগুলো বেশিরভাগ এই ক্রেডিট কার্ডের আওতার বাইরে থাকায় কিস্তির সুবিধাটা তাদের জন্য অধরাই থেকে যাচ্ছে। ফলে চাইলেও স্মার্টফোনের সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
এদিকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অফিসের অনেক কাজ, দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজ ঘরে বসে অনলাইনে করতে হচ্ছে। এছাড়া স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসও হচ্ছে অনলাইনে। এই কাজগুলোর জন্য স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হচ্ছে। কিন্তু যাদের কাছে স্মার্টফোন নেই তারা নিজের কাজ অনলাইনে করতে পারছেন না। হচ্ছেন বিভিন্ন ঝামেলার শিকার। সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্মার্টফোন বা অনলাইন ক্লাস করার মতো ডিভাইস না থাকায় পড়ালেখা থেকে পিছিয়ে পড়ছেন তারা। যার প্রভাব পড়ছে তাদের পরীক্ষার ফলাফলে।
কিন্তু এবার এসব সমস্যার এক সহজ সমাধান বের করেছে বাংলাদেশি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ওয়ালটন বাংলাদেশের বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি। দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে দেশের মানুষদেরকে প্রযুক্তির সুফল ভোগ করাতে বদ্ধপরিকর তারা। সুলভ মূল্যে প্রতিটি পণ্য সরবরাহ করা ছাড়াও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সহজ শর্তে কিস্তির মাধ্যমে স্মার্টফোন বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানটি। এই কিস্তি পেতে লাগছেনা কোন ক্রেডিট কার্ড। যার ফলে নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষরাও চাইলেই ভালো মানের এবং ভালো দামের স্মার্টফোন কেনার সুযোগ পাচ্ছেন।
যেভাবে কিস্তিতে ওয়ালটনের মোবাইল ফোন কিনবেন:
* ওয়ালটনের মোবাইল ফোন কিস্তিতে নিতে প্রথমেই গ্রাহকের ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি, দুইজন জামানতদার এর ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি লাগবে।
*স্মার্টফোনের দাম এবং গ্রাহকের সামর্থ্য অনুযায়ী মোবাইল ফোনটির ২০-৬০% ডাউনপেমেন্ট ধরা হবে। যা ফোন কেনার দিন পরিশোধ করতে হবে।
*ডাউনপেমেন্ট এর পর বাকি টাকা গ্রাহক চাইলে ৬ মাস বা ১২ মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।
*৬মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করলে স্মার্টফোনটির মূল্যের উপর ৮% এবং ১২ মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করলে বাড়তি ১৬% সুদ হিসেবে যুক্ত হবে।
প্রসঙ্গত, ওয়ালটনের এই কিস্তি সুবিধা শুধু স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেই নয়। নিজেদের সকল পণ্যের সাথেই গ্রাহকদেরকে এই সহজ কিস্তির সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।
অর্থাৎ দেশের ব্র্যান্ড হিসেবে সকল স্তরের মানুষের কাছে প্রযুক্তির ছোঁয়া পৌঁছে দিচ্ছে ওয়ালটন। সেই দিন বেশি দূরে নেই যখন দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে নিজেদের মানসম্মত সেবা নিয়ে পৌঁছে যাবে প্রতিষ্ঠানটি।